Admission Agreement
আমি ……………………………………………………………………………………… আমার ……………………………………….(নাম)……………………………………………………………………………………………………………………..
বিভাগে ভর্তি করার একান্ত ইচ্ছা পােষণ করে প্রতিষ্ঠানের কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, সে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কানুন মান্য করাসহ শিক্ষক মহােদয়ের আদেশ মান্য করতে বাধ্য থাকবে। আর আমি নিজেও নিম্নে বর্ণিত নিয়মাবলী যথাযথভাবে মানতে বাধ্য থাকব।
- তার পড়ালেখার উন্নতি ও চরিত্রগঠন সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা সমাধানকল্পে সদা-সর্বদা সংশ্লিষ্ট শিক্ষক মহােদয়ের সাথে যােগাযােগ রাখব। । আমি তার হাতে কোন প্রকার টাকা-পয়সা প্রদান করব না। তার প্রয়ােজনীয় টাকা-পয়সা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নিকট অৰ্পণ করব। অতএব তার নিকটে শিক্ষকের অবগতি ব্যতিত কোন টাকা-পয়সা পাওয়া গেলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এতে আমার কোন প্রকারের আপত্তি থাকবে না।
- প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ছুটি ছাড়া তাকে বাসা-বাড়িতে নিব না। বিশেষ করে কারাে জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকী ও মুসলমানির দাওয়াতের জন্য কোনভাবেই ছুটির আবেদন করব না।
- প্রতিষ্ঠানের ছুটি হলে তাকে বাসা-বাড়িতে নিয়ে যাওয়া ও ছুটি শেষে যথাসময়ে যে কোন উপায়ে তাকে প্রতিষ্ঠানে পৌছানাের জিম্মাদারি আমার। অসুস্থতা বা গ্রহণযােগ্য কোন কারণবশত বাসা-বাড়িতে থাকার প্রয়ােজন হলে আলােচনা সাপেক্ষে ছুটি গ্রহণ করব।
- তার তারবিয়াতের জন্য শিক্ষক মহােদয় আদরের পাশাপাশি কখনও কোন ধরণের নেহায়েত ন্যায়সম্মত শাস্তি প্রয়ােগের প্রয়ােজন মনে করলে নির্দ্বিধায় তা করবেন; এতে আমার কোন ধরণের আপত্তি থাকবে না।
- তার আদব-আখলাক, তা’লিম-তারবিয়াতের সার্বিক দায়িত্ব শিক্ষক মহােদয়ের হাতে ন্যস্ত করলাম। বাড়িতে ছুটি থাকাকালীন তার চলাফেরা, আদব-আখলাক, ইবাদাত-মু’আমালাত ও আচার-ব্যবহারের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখব। কোন প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে শিক্ষককে অবহিত করে তার সংশােধনের প্রচেষ্টা চালাব।
- আমার সন্তান কীভাবে নিরাপদে থেকে ভাল পড়ালেখার পাশাপাশি আদর্শবান মানুষ হতে পারে সে জন্য কর্তৃপক্ষের প্রণিত কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকব। প্রতিষ্ঠানে থাকাকালীন নিয়ম-কানুনের বরখেলাফ করে কোন বিপদের সম্মুখিন হলে সে নিজেই দায়ী থাকবে। বিশেষত অনুমতি ছাড়া প্রতিষ্ঠান থেকে বাইরে বেড়াতে কিংবা পালিয়ে গিয়ে হারিয়ে গেলে অথবা কোন ধরণের বিপদ হলে কর্তৃপক্ষকে কোনভাবেই দোষারােপ কিংবা দায়ী করব না।
- প্রতিষ্ঠানের ছুটিতে বা অন্যান্য সময়ে তাকে বাসা-বাড়িতে আনা-নেয়ার দায়িত্ব আমার। তাকে একাকি যাতায়াত করতে দিব না। আমি অথবা আমার পাঠানাে প্রতিনিধি তাকে আনা-নেয়া করবে।
- তার সাথে আমাদের কখনও সাক্ষাতের প্রয়ােজন হলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সাক্ষাতের নির্ধারিত সময়ে আসব। বিশেষ প্রয়ােজনে কখনও মােবাইলে কথা বলতে হলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত সময়েই ফোন করব। অযথা মহব্বতের অজুহাতে যখন-তখন ফোন করে তার পড়াশােনার একাগ্রতায় ব্যঘাত সৃষ্টি করব না।
- আমি এই মর্মে প্রত্যয়ন করছি যে, আমি আমার নিজের দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য এবং আমার সন্তান ভবিষ্যতে হক্কানী আলেম হওয়ার জন্য শরীআতসম্মত পথে জীবন-যাপনে সচেষ্ট থাকব। পরিবারবর্গকে দীনের উপর চালানাের চেষ্টা করব। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কলিজায়। ছুরির আঘাত করত দাড়ি কর্তন করব না। (দাড়ি এক মুষ্ঠি পরিমাণ লম্বা রাখা ওয়াজিব।) সাথে সাথে আবিশ্যিকভাবে শরয়ী পর্দাকে নিজের ও পরিবারের জীবনে বাস্তবায়ন করব। আমার ইনকাম শতভাগ হালালের ব্যাপারের সচেতন থাকব।
- কোনক্রমেই বাসা-বাড়িতে টেলিভিশন রাখব না। নিজেও সতকর্তার সাথে টিভি দেখা থেকে বেঁচে থাকব। মনে রাখবেন, ঘরে টিভি রেখে সন্তান মানুষ করার কথা চিন্তা করা চরম বােকামী। হাফ্যে, আলেম হওয়ার তাে প্রশ্নই উঠে না। তার ব্যপারে কোন ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে, ওর-আপত্তি থাকলে কর্তৃপক্ষকে অবগত করব; কোনক্রমেই কৈফিয়ত তলব করব না।
- সীমালঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ তার ব্যপারে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তা মাথা পেতে মেনে নিব । বিরােধিতা কিংবা দুশমনির বশবর্তী হয়ে তাদের। বিরুদ্ধাচরণ করব না। কোন ধরনের হয়রানীর কথা কল্পনাও করব না। কারণ এতে আপনার প্রিয় সন্তান স্থায়ীভাবে ইলমেদ্বীন হতে বঞ্চিত হয়ে যেতে পারে।
- মাসিক বেতন ১০ তারিখের মধ্যেই পরিশােধ করব অন্যথায় কর্তৃপক্ষের যেকোন সিদ্বান্ত মেনে নিতে বাধ্য থাকব।
- মাসিক অভিভাবক ও শিক্ষক সমন্বয় মিটিং-এ নিয়মিত উপস্থিত থাকব।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা জাতীয় কোন সমস্যার কারণে প্রতিষ্ঠান ছুটি থাকলে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে বেতন পরিশােধ করতে হবে।
- আমি আমার সন্তানের ভাল-মন্দ কোন বিষয় গােপন করব না। যদি গােপন করি তাহলে এটার দায়ভার আমি বহন করবাে।